যুব মহিলা লীগের সাবিনা আক্তার তুহিনকে ৪ বিষয়ে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবিনা আক্তার তুহিন

যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে ৪ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।

মঙ্গলবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া নোটিশের বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ধারা মোতাবেক শাখা সংগঠনসমূহের সভাপতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তিনি ‘কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন সব স্তরে জবাবদিহি করবেন’ এবং গঠনতন্ত্রের ১২(খ) ধারা ‘সভাপতির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বা দায়িত্ব’ মোতাবেক আপনার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা বা কারণ দর্শাতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

যে ৪টি বিষয়ে সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় সেগুলো হলো-

(১) গত ১৬ ডিসেম্বর’ ২০২১ মহান বিজয় দিবস উৎযাপন এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের পূর্বে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেছেন। জাতির পিতার রক্তের স্মৃতি বিজড়িত ওই ৩২ নম্বর বাড়ি আমাদের পবিত্র স্থান, আমাদের আবেগ, অনুভূতির জায়গা। সুবর্ণজয়ন্তীর একটি ঐতিহাসিক দিনে আপনার ও আপনার কর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনেককে চোখের জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো! এর প্রকৃত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন।

(২) আপনি ২৪/০৭/২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব নেবার প্রায় সাড়ে চার বছরেও কোনো থানা, ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করেননি। এর ফলে দলীয় কর্মীরা পদ এবং অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে আপনার দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত না করার ফলে দল সুসংগঠিত নয় অথচ পদ আঁকড়ে আছেন। এর সুনির্দিষ্ট এবং যথাযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন।

(৩) নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ‘গাপিয়া’ আপনার দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু। তার অপকর্মের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন যুব মহিলা লীগ দেশে বিদেশে অনেক সমালোচনার মুখে পড়ে। আপনার বিরুদ্ধে পাপিয়াকে প্রশ্রয় দেবার অভিযোগ আছে। এর প্রকৃত কারণ যোগ করুন।

(৪) আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘১৭/১২/২০১১ নাজমা আক্তার ১/১১ এর সময় আপনাকে কোর্ট ও সাবজেলে যেতে নিষেধ করেছিল এবং নাজমা আক্তার জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ না নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন।’ আপনার উপরোক্ত বক্তব্যের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আপনাকে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এমতাবস্থায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব ২২/১২/২০২১ তারিখ থেকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হলো এবং একই সাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে যুব মহিলা লীগের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শেয়ার করুন