করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে দিশেহারা যুক্তরাজ্য। এতে দেশটিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৯০ হাজারের ঘর। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন জারি করা নিয়ে দোটানায় রয়েছে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। তবে বাতিল করা হয়েছে নববর্ষের উৎসব।
বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধের দাবি উঠলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্রিসমাসের আগে নতুন কোনো বিধিনিষেধ জারি হবে না বলে জানিয়েছেন। ফলে লন্ডনের পরিস্থিতি দিন দিন অনুকূলের বাইরে চলে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭২ জনের যা সোমবার ছিল ৪৫ জন। এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ১২১ জনে।
এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৬২৯ জন যা সোমবারের তুলনায় কিছুটা কম। সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৭৪৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার ১২১ জন।
যুক্তরাজ্যে করোনার এমন পরিস্থিতিতে বাতিল করা হয়েছে ট্রাফালগার স্কয়ারের নববর্ষ উৎসব। এর আগে গত অক্টোবরে বাতিল করা হয় লন্ডন আইয়ের নববর্ষ উৎসব।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জানিয়েছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। তবে লাইভে উদযাপন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে, বাড়িতে বসে সবাইকে এটি দেখা যাবে। বিষয়টি লন্ডনবাসীর জন্য খুবই হতাশাজনক হবে, তবে ভাইরাসের বিস্তাররোধে আমাদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর নববর্ষ উৎসবের জন্য ৩১ ডিসেম্বর রাতে শহরের টেমস নদীর তীরে লন্ডন আইয়ের আতশবাজি দেখতে জড়ো হন লাখ লাখ মানুষ। প্রায় সোয়া কোটি মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন টিভিতে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে টেমস নদীর তীরে নববর্ষ উৎসব বাতিল করা হয়।