পাঠ্যবই মুদ্রণে বিলম্ব : জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে

সৈয়দা রাকীবা ঐশী

ছাপা হচ্ছে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বই
ফাইল ছবি

বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত প্রশংসনীয় হলেও এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রতিবছর যে ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়, তা দুঃখজনক। আর মাত্র কয়েকদিন পর শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। অথচ এখনো বিনামূল্যের ৭ কোটি বই ছাপানোর কাজ বাকি।

যদিও এনসিটিবি চেয়ারম্যানের দাবি, বই ছাপানোয় সংকট থাকলেও অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীরা সময়মতো পাঠ্যবই পেয়ে যাবে; এর জন্য বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে। বই মুদ্রণসহ এর পরবর্তী বাঁধাই, কাটিং-সব পর্যায়ের কাজেই এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ফলে এ বিষয়ক সব কাজ আগের চেয়ে তুলনামূলক কম সময়ে সম্পন্ন করা যায়। সব পর্যায়ে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও ত্রুটিমুক্ত প্রকাশনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

যথাসময়ে বিনামূল্যের বই না পেলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা আসল-নকল বিচার না করে যা সামনে পাবে, কয়েকগুণ দামে তা-ই কিনবে-এটা অস্বাভাবিক নয়। নির্ধারিত সময়ে বই ছাপানো এবং সরবরাহ কাজে বিঘ্ন ঘটার সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকের অবৈধ বিক্রির কোনো সম্পর্ক আছে কি না-এ প্রশ্নটিও এসে যায়। শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার দায়িত্ব যেহেতু এনসিটিবির ওপর ন্যস্ত, তাই সময়মতো বই না পাওয়া গেলে তাদেরই জবাবদিহি করতে হবে।

নতুন বই ছাপানোর কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও সরবরাহ কাজে কোনো জটিলতার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের উচিত এমন লোক নির্বাচন করা, যারা এ কাজে সর্বোচ্চ পেশাদারির পরিচয় দিয়ে নির্ধারিত সময়ে মানসম্পন্ন ও নির্ভুল পাঠ্যপুস্তক সরবরাহে সক্ষম হবেন।

লেখক : শিক্ষার্থী

শেয়ার করুন