কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, আসামি ৭

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বাঁ থেকে- ইসরাফিল হুদা জয়, আশিকুল ইসলাম ও রিয়াজুদ্দিন ছোটন

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী ও বন্ধু ইসরাফিল হুদা জয়া এবং হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজুদ্দিন ছোটনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করবে।

universel cardiac hospital

ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছেন- বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটো রিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে নেয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খুলেন তিনি। তারপর পাশের অন্য একজনের সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাব-১৫ ব্যাটেলিয়নকে। খবর পেয়ে র‌্যাব হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামে হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।

পুলিশ জানিয়েছে, নারী পর্যটককে ধর্ষণে জড়িত বলে যাদেরকে সনাক্ত করা হয়েছে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও বন্ধু ইসরাফিল হুদা জয়া দুই জনই শহরের চিহ্নিত অপরাধী। শহরে চুরি ছিনতাই, ধর্ষণ ও মাদকব্যবসা সহ নানা অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেলেও ছিলেন আশিক। সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে আশিকুল ইসলাম। সে শহরের মধ্য বাহারছড়া এলাকার মৃত আবদুল করিমের ছেলে। ইসরাফিল হুদা জয়া একই এলাকার মো. শফির ছেলে। তারা দুই জনই বন্ধু ও একই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য।

শেয়ার করুন