বড়দিনের উৎসবের আগে ইতালিতে বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধ এবং ইকুয়েডরে বাধ্যতামূলক করা হলো করোনাভাইরাসের টিকাগ্রহণ। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রন মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দুটি। খবর আল-জাজিরার।
ইতালিতে বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের উত্তরাঞ্চলের শহর জিয়ানকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। জানা গেছে, শহরটিতে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। দেশটিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই এমন খবর বেশ উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শহরের কর্মকর্তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরটির সব পরিবহন ব্যবস্থা।
দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৯ জন। যদিও যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তেদের ইমারজেন্সিতে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৪৫ ভাগ কম এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৭০ ভাগ কম।
ওমিক্রন মোকাবিলায় বড় দিনের উৎসব ও নববর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে। গ্রিসে ঘরের ভেতরে ও বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
স্পেনের কাতালোনিয়ায় রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯, করোনার নতুন ধরন শনাক্তের খবর আসে। নতুন ধরন ওমিক্রনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৯ নভেম্বর। এরপর দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২২ জন এই নতুন ধরনে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ধরনকে উদ্বেগজনক বলছে, তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনও এর সংক্রমণ কতটা শক্তিশালী তার সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। তবে এটি দ্রুত রুপান্তর ঘটিয়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।