বিদেশ থেকে টাকা এনে অনেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে তাদের রুখে দেওয়ার।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।
অলাভজনক সামাজিক সংগঠন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইজিপি বলেন, এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পেছন থেকে অনেকে দেশের উন্নয়নকে খামছে ধরার চেষ্টা করছে৷ তবে আমরা সব ষড়যন্ত্রের শেকল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, বাঙালি প্রকৃত অর্থেই দেশপ্রেমিক জাতি। দেশের জন্য যখনই বাঙালি ঐক্যবধ্য হয়েছে তখনই বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাঙালি জাতি পরাজয় মানে না, আমরা পরাজয় মানবো না। বাংলাদেশ কোন মহাদেশে অবস্থিত এটা এখন বক্তৃতা দিয়ে আমাদেরকে বলতে হয় না। আমরা অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
জুমবাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। এই শিশুরাই দেশের জন্য আগামী দিনে কাজ করবে, কন্ট্রিবিউট করবে। এই শিশুদের প্রত্যেকের মাঝে সম্ভাবনার দূতি দেখতে পেয়েছি, প্রত্যেক শিশুর চোখে সম্ভাবনার স্ফুরণ দেখতে পেয়েছি। জুমবাংলা কার্যক্রম দেখে ব্যক্তিগতভাবে আমি অভিভূত।
অনুষ্ঠানে জুমবাংলা স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার, চার শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ এবং উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।
পরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জুমবাংলা স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। বক্তব্য রাখেন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি জেরিন সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন জুম বাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুহুল আমিন সেলিম।
জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটি পথ শিশু ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ, ইয়ুথ লিডারশিপ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভলেন্টিয়ার ওয়ার্কশপ, আত্ম-কর্মসংস্থান, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ, দেশাত্মবোধ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
সংগঠনটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ঢাকায় ছয়টি স্কুল পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে তিনটি আনুষ্ঠানিক এবং তিনটি অনানুষ্ঠানিক। এছাড়া, ঢাকার বাইরে গাইবান্ধায়ও সংগঠনটির একটি অনানুষ্ঠানিক স্কুল রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরে দশটি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।