ভারতে চারশ ১৫ জনের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন। খবর এনডিটিভির।
জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন, এরমধ্যে দিল্লিতে ৭৯ জন। এরপর গুজরাটে ৪৩, তেলেঙ্গানায় ৩৮ জন। এছাড়া কেরালায় ৩৭ জন, তার মধ্যে তামিল নাড়ুতে ৩৪ জন। তবে ভারতের উত্তর-পূর্বের কোনো রাজ্যে এখনো ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার পর্যন্ত ৩৫৮ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩৫৮ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ১৮৩ জনের মধ্যে ৮৭ জন পুরোপুরি করোনার টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
এদিকে, বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে ভারতজুড়ে বাড়ানো হয়েছে করোনার বিধিনিষেধ। মহারাষ্ট্রে পাঁচজন বা তারও বেশি একত্রে জড়ো হতে পারবেন না রাত ৯টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। ক্রিসমাস উপলক্ষে হারিয়ানা এবং দিল্লিতেও কঠোর করা হয়েছে বিধিনিষেধ। তবে প্রার্থনার জন্য গির্জায় যেতে বাধা নেই।
এদিকে, আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৫ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৯ জন।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯, করোনার নতুন ধরন শনাক্তের খবর আসে। নতুন ধরন ওমিক্রনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৯ নভেম্বর। এরপর দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২২ জন এই নতুন ধরনে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ধরনকে উদ্বেগজনক বলছে, তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনও এর সংক্রমণ কতটা শক্তিশালী তার সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। তবে এটি দ্রুত রুপান্তর ঘটিয়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।