সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে বাদী হয়ে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান।
পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ শতাধিক।
আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। ১৯ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে, পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের হিসাব মতে লঞ্চে ৩৫০-এর মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।
আগুনে পোড়া লঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে শনিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাজাহান খান বলেন, ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ থেকে লঞ্চে আগুন লেগেছে। এখনো লঞ্চের যে যাত্রীদের পাওয়া যায়নি, তাদের খুঁজতে কাজ করছে ডুবুরি দল। তাদের সঙ্গে নদীতে নৌকা নিয়ে নামেন নিখোঁজদের স্বজনরাও।