নারায়ণগঞ্জে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ৭ বছরের এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুইজন। তবে তাদের কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
আহতরা হলেন- নুরু মিয়া (৩৮), মনোরঞ্জন সাহা (৪০), কাদের মোল্লা (৩৫), মিজান মিয়া (৬৫), মনা ও মনির (৩৫)। বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি। নুরু মিয়া ও মনোরঞ্জন সাহা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের এক নম্বর রেলগেট এলাকা আনন্দ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুইজন। এসময় আহত সাত বছরের ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আহত মনোরঞ্জন সাহার স্ত্রী সঙ্গীতা সাহা বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমার স্বামী সেখানে ছিলেন। আহত হলে তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তার পায়ে আঘাত লেগেছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. ইব্রাহিম ও জনি বলেন, আমরা শিশুসহ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে শিশুটি মারা গেছে। তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, গুরুতর আহত ৪ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি। ওই সময় এক নম্বর গেট এলাকায় ক্রসিংয়ের সময় কালীরবাজার থেকে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস সামনে পড়ে যায়। তখন ট্রেন বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দুজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে।