যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যে কোনো নিপীড়নকারী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্লিংকেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে। তিনি এ অঞ্চলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি নতুন নীতি তুলে ধরেন।
প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নিতে চায়, যেখানে সংকট ও চ্যালেঞ্জ খোলামেলাভাবেই মোকাবিলা করা হবে। দ্বিতীয়ত, এখানে মানুষ ভূমি, সমুদ্র ও উন্মুক্ত সাইবার স্পেসে চলাচলের স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং পণ্যবাহী পরিবহন উন্মুক্ত সমুদ্রজুড়ে চলাচল করবে। তৃতীয়ত, এ অঞ্চলের দেশগুলোতে নির্বাচিত শাসক দ্বারা শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে এবং অবশ্যই শাসকদের জনগণের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে।
চতুর্থত, এ অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য নিয়মগুলো সবার জন্য স্বচ্ছ ও একক হবে। পঞ্চমত, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে নিপীড়নকারী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং একটি উন্মুক্ত, আন্তঃপরিচালনাযোগ্য নির্ভরযোগ্য ও সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবস্থা করবে, যা এ অঞ্চলে অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে।
ব্লিংকেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপায় খুঁজছে। সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক সম্মেলনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য নতুন প্রতিশ্রুতি ও সংস্কার কর্মসূচির উদ্যোগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করেছে। এই জোট মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করতে, অন্যায়ভাবে আটক সবাইকে মুক্ত করতে এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাধাহীন করতে কাজ করবে এবং দেশটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট থাকবে।