খালি চোখে ২০২১ সালটি ভয়াবহ ব্যর্থতার মধ্যেই কেটেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে না পারা; টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও হতাশাজনক ফলাফল।
এছাড়া মাঠের বাইরের নানান ঘটনায় নেতিবাচক খবরই বেশি শোনা গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাপারে। তবে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা যেই ফরম্যাট, সেই ওয়ানডে ক্রিকেটে ঠিকই মিলেছে আশার আলো। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ জেতেনি আর কোনো দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দাপট থাকা ২০২১ সালে খুব বেশি ওয়ানডে খেলা হয়নি। আজকে (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ২০২১ সালে ওয়ানডে হয়েছে ৭১টি। এছাড়া ২৮ ও ৩১ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের দুই ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে ৭৩টি ওয়ানডে হতে পারে এই বছর।
যেখানে সবচেয়ে বেশি ১৫ ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের পরে রয়েছে ১৪ ম্যাচ খেলা আয়ারল্যান্ড। সামনের দুই ম্যাচ খেললে তারা ছাড়িয়ে যাবে শ্রীলঙ্কাকে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের নাম। তারা খেলেছে ১২টি ম্যাচ। এছাড়া ২০২১ সালে ন্যুনতম ১০টি ওয়ানডে খেলেছে ওমান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ বছর খেলা ১২ ওয়ানডের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল। হেরেছে বাকি চার ম্যাচ। মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনটি ও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয় এক ম্যাচে। এর বাইরে জিম্বাবুয়ে সফরে তিনটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে তিনটি ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জয় দুই ম্যাচে।
সবচেয়ে বেশি ১৫টি ম্যাচ খেলা শ্রীলঙ্কা হেরেছে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। তারা পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেয়েছে ১০টি ম্যাচে। তবে আয়ারল্যান্ড যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুই ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে তাদেরও পরাজয় দাঁড়াবে ১০ ম্যাচে। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হবে তারা।
২০২১ সালে ওয়ানডেতে কোনো ম্যাচ হারেনি আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এদের মধ্যে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড তিনটি করে ম্যাচ খেলে জিতেছে তিনটিতেই। অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচ খেলেছে জিতেছে দুইটি, পরিত্যক্ত হয়েছে অন্য ম্যাচ। আর পাপুয়া নিউগিনি আট ম্যাচ খেলে হেরেছে সবকয়টিতে।
২০২১ সালে ওয়ানডের দলীয় পরিসংখ্যান
১/ বাংলাদেশ – ১২ ম্যাচে ৮ জয় (৪ পরাজয়)
২/ ইংল্যান্ড – ৯ ম্যাচে ৬ জয় (২ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
৩/ ওমান – ১০ ম্যাচে ৬ জয় (৩ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
৪/ ভারত – ৬ ম্যাচে ৪ জয় (২ পরাজয়)
৫/ আয়ারল্যান্ড – ১৪ ম্যাচে ৪ জয় (৮ পরাজয়, ২ পরিত্যক্ত)
৬/ নেপাল – ৬ ম্যাচে ৪ জয় (২ পরাজয়)
৭/ স্কটল্যান্ড – ৬ ম্যাচে ৪ জয় (১ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
৮/ শ্রীলঙ্কা – ১৫ ম্যাচে ৪ জয় (১০ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
৯/ ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৯ ম্যাচে ৪ জয় (৫ পরাজয়)
১০/ আফগানিস্তান – ৩ ম্যাচে ৩ জয়
১১/ নেদারল্যান্ডস – ৬ ম্যাচে ৩ জয় (২ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
১২/ নিউজিল্যান্ড – ৩ ম্যাচে ৩ জয়
১৩/ দক্ষিণ আফ্রিকা – ১০ ম্যাচে ৩ জয় (৫ পরাজয়, ২ পরিত্যক্ত)
১৪/ যুক্তরাষ্ট্র – ৬ ম্যাচে ৩ জয় (৩ পরাজয়)
১৫/ অস্ট্রেলিয়া – ৩ ম্যাচে ২ জয় (১ পরিত্যক্ত)
১৬/ পাকিস্তান – ৬ ম্যাচে ২ জয় (৪ পরাজয়)
১৭/ নামিবিয়া – ২ ম্যাচে ১ জয় (১ পরাজয়)
১৮/ আরব আমিরাত – ২ ম্যাচে ১ জয় (১ পরাজয়)
১৯/ জিম্বাবুয়ে – ৬ ম্যাচে ১ জয় (৪ পরাজয়, ১ পরিত্যক্ত)
২০/ পাপুয়া নিউগিনি – ৮ ম্যাচে ০ জয় (৮ পরাজয়)