‘জানুয়ারি থেকে মাসে চার কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার টিকাদান কার্যক্রম
ফাইল ছবি

আগামী জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে অন্তত ৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার আশা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণের জন্য ইতোমধ্যে ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ ২৮ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। এরপরও তিন কোটি ডোজ টিকা হাতে থাকবে। এ জন্য প্রতি মাসে চার কোটি ডোজ করে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী মে-জুনের মধ্যেই টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবো।

বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সামনে ওমিক্রনে আবারও চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু টিকা ওমিক্রন ঠেকাবে না। স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে।

ইডিসিএলের উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইডিসিএলের উৎপাদিত ওষুধ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সক্ষমতা না থাকায় সেটি আপাতত সম্ভব হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন