রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পর্যন্ত ১৫ জোড়া অর্থাৎ ৩০টি স্পেশাল বাস চালু করা হচ্ছে। কুড়ি থেকে মেলা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৩০ টাকা। এছাড়া মতিঝিল ও মিরপুর থেকে বিআরটিসি বাস মেলার এলাকা পর্যন্ত চলাচল করবে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এই বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
অন্যদিকে মেলার থাকছে প্রায় এক হাজার কার পার্কিংয়ের সুবিধা। পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে বিল্ট-ইন দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং, যেখানে পাঁচ শতাধিক গাড়ির পার্কিং সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে প্রায় ছয় একর জমিতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এবারের মেলায় এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করবে।
মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মেলায় একটি অস্থায়ী সচিবালয় বসানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের সব ধরনের তথ্য দেওয়ার জন্য থাকছে একটি তথ্যকেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকছে জনতা ব্যাংক। পাশাপাশি বাণিজ্যমেলায় বেশকিছু ব্যাংক বুথ স্থাপন করেছে।
মেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। মা ও শিশুদের কথা বিবেচনা করে মেলায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি ‘মা ও শিশুকেন্দ্র’। প্রয়োজনীয় অন্য সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে, রক্ত সংগ্রহকেন্দ্র, মসজিদ, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার বা বেঞ্চ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলার প্রবেশ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্ত বয়স্ক) এবং ২০ টাকা (অপ্রাপ্ত বয়স্ক)। মেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনেও মেলার টিকিট পাওয়া যাবে।