গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এবং ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন একজন আইনজীবী।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আবু তালেব।
রিটকারী আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, আজকে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন ফাইল করেছি। এটির শুনানি হবে। এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থ ১৬ কোটি ভাগের একভাগ। কিন্তু আইনজীবী হিসেবে আমার এদেশের সাধারণ মানুষ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেকের চেয়ে বেশি। তাই বাদী হয়ে জনস্বার্থে এই রিট পিটিশন দায়ের করেছি।
আবেদনে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিভিন্ন সময় করা আইনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ভাড়ার নৈরাজ্য ঠেকাতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
আইনজীবী জানান, গত ১ ডিসেম্বর গণপরিবহনে বৃদ্ধি করা ভাড়া বাতিল করতে সরকার ও বিআরটিএকে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটের প্রাথমিক শুনানিতে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ১২২ ধারার অধীনে সরকার বিধিমালা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত যাতে ভবিষ্যতে ভাড়া বাড়ানো না হয় সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। বাসের দৃশ্যমান স্থানে সাইনবোর্ড দিয়ে এবং ইলেকট্রনিকস বিল বোর্ড দিয়ে ভাড়ার তালিকা প্রকাশের আদেশ চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও গণপরিবহন ডিজেল, গ্যাস না পেট্রোলচালিত সেটা একাধিক জায়গায় লিখে দেওয়ার আদেশ চাওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিক বা কন্টাক্টর কোনোভাবে বেশি ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ চাওয়া হয়েছে রিটে।
ছাত্রছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া নির্ধারনের বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা, ওয়েবিল নামের ‘প্রতারণা’ দ্রুত বন্ধ করা, দেশের প্রতিটি পরিবহন কোম্পানিকে বাসে যে ভাড়া নেন এবং সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা আদালতে দাখিল করতে বিআরটিএকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে রিটে।
এছাড়াও সারাদেশে ফিট ও আনফিট বাসের হিসাব হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে আদেশ দেওয়া এবং রিট চলমান মামলা হিসেবে গণ্য করার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট আবু তালেব।