উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি

সৈয়দা রাকীবা ঐশী

ভর্তির আবেদন
ফাইল ছবি

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পাশ করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পাশ করা শিক্ষার্থীর তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসন বেশি হওয়ায় এবছর অন্তত ৫ লাখ আসন শূন্য থাকবে। এর কারণ এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি ভিন্ন। পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন কি না, এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এখন উদ্বিগ্ন।

দেশে এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নামকরা ও ভালোমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। এ স্তরের শিক্ষার জন্য দেশে হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে হাতেগোনা আড়াইশ প্রতিষ্ঠান। দেশে শত শত বেসরকারি পলিটেকনিক থাকলেও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান। যেহেতু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নামকরা ও ভালোমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম, সেহেতু অনেক শিক্ষার্থী তাদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। দেশে এ স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।

বস্তুত শুধু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংকট বিদ্যমান, বিষয়টি এমন নয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরেও নামকরা ও ভালোমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। এ অবস্থায় দেশে শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে কী করে উন্নীত হবে, এটা এক প্রশ্ন। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর জানার পরিধি কতটা সীমিত বিষয়টি বহুল আলোচিত।

জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগির শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে যাতে কোনো রকম জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। লক্ষ করা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে এবং নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘উন্নয়ন ফি’ নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। নিয়মবহির্ভূত এসব অর্থ প্রদান করতে গিয়ে অনেক অভিভাবক দিশেহারা হয়ে পড়েন। এসব অনিয়ম রোধেও কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

লেখক : শিক্ষার্থী

শেয়ার করুন