এক সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ বাংলাদেশি খুন

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিনিধি

দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ বাংলাদেশি খুন
সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকায় এক সপ্তাহে চার বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। গুলি করে, কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে রাকিব ইসলাম (২৭), মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (৩৫), মঈন উদ্দীন (৪০) ও শেখ মোহাম্মদ মোয়াজ্জিম (৪৫) নামের চার প্রবাসী ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়।

এদের মধ্যে সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে শেখ মোহাম্মাদ মোয়াজ্জিমের মরদেহ দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ ওয়েস্ট প্রদেশের কালার্সড্রপস এলাকার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কি কারণে মোয়াজ্জিম খুন হয়েছে এ ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। মোয়াজ্জিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

শেখ মোহাম্মদ মোয়াজ্জিম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইন শহরের পার্শ্ববর্তী ফেইজ-৬ নামক স্থান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বাংলাদেশি রাকিবুল ইসলামকে গুলি করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পথচারীরা মরদেহ দেখে পুলিশকে জানালে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে কমিউনিটির লোকজন বাংলাদেশি রাকিবুল ইসলামের মরদেহ নিশ্চিত করলে খুনের ঘটনা জানাজানি হয়। এখন পর্যন্ত কি কারণে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাকিবের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার গোপীনাথপুর গ্রামে বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কফিনবাবা এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বাংলাদেশি রবিউল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে কমিউনিটি পক্ষ থেকে জানানো হয়। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা রবিউলকে হত্যা করে দোকানের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতে রবিউলকে হত্যার পাশাপাশি একই লোকেশনে (গ্রাম) বাংলাদেশি মালিকানাধীন আরও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় পুমালাঙ্গ প্রদেশের পিটারটিপ শহরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মঈন উদ্দীন (৪০) খুন হন। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় কয়েকজন অজ্ঞাত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক দোকানে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঈন উদ্দীনের মাথা ও ঘাড়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মুহূর্তে মধ্যে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তারা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে স্থানীয় কমিউনিটি থেকে জানা গেছে। কী কারণে মঈন উদ্দীনকে কৃষ্ণাঙ্গরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে খুন করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

শেয়ার করুন