অরক্ষিত বরিশালের নদী তীরবর্তী এলাকা: জনবল সংকটে বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান

বরিশাল থেকে আরিফ আহমেদ

গত সেপ্টেম্বরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী এলাকার কাচাবাজার অংশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘীরে দেয়া হয়েছিলো। এরপর ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আর কোনো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি নদী তীরবর্তী এলাকায়। ফলে আবারও গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি। এতে নষ্ট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী পরিবেশ। অথচ এখানে রয়েছে চমৎকার পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার সম্ভাবনা। রয়েছে অত্যাধুনিক নৌ কারখানা বা ডক ইয়ার্ড তৈরির সুযোগ।

সরেজমিনে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী ফুটপাথ ধরে চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে ত্রিশগোডাউন পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে দেখা যায় চরম অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার স্বীকার এই নদী তীরবর্তী দর্শনীয় স্থান। অবৈধ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ছাড়াও পথের উপর দড়ি বেধে কাপড় শুকানো অনন্য নজীর স্থাপন করেছে এই অবৈধ বাসিন্দারা।

universel cardiac hospital

অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরেই শুধু কাঁচাবাজার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বাকী প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ অরক্ষিত পড়ে আছে বছরের পর বছর। গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ও বস্তিঘর। স্টিমার ঘাট থেকে শুরু করে ত্রিশ গোডাউন পর্যন্ত এলাকার মাঝখানে কিছু অংশ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। নদী তীরে বসে প্রশান্তি গ্রহণের চমৎকার এই পর্যটন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এসব অবৈধ স্থাপনার দাপটে।।

এমনকি সন্ধ্যার মোটেও নিরাপদ নয় মুক্তিযোদ্ধা পার্কের শান্তিময় পরিবেশ। রাত হলেই নদী তীরবর্তী এলাকায় মাদকের আড্ডা বসে বলে অভিযোগ ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাঃ এটা সত্যি যে সেপ্টেম্বরের পর আর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই নক্সা বাছাই ও সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকবলের অভাবে অভিযান পরিচালনা করতে বিলম্ব হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আবার অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন