মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ কে আবদুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা এবং সেখানে আমাদের শ্রমশক্তি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এর ফলে একদিকে ওই দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে আমাদের শ্রমিকেরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের শ্রমশক্তিকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশে নিয়োজিত করতে পারলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশ- প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু আমরা অন্যান্য অঞ্চলেও আমাদের শ্রমশক্তি পাঠাতে চাই।

বৃহস্পতিবার বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

সম্প্রতি রোমানিয়ায় লোক নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশেও আমাদের শ্রমশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওইসব দেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা রাখতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন