বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই দেশের করোনা পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। টানা তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষ তা আমলে না নেওয়ার কারণে প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আরও কঠোর অবস্থানে যেতে চাইছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনও ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজনের দেহে। ওমিক্রন এখন সারাবিশ্বে এক আতঙ্কের নাম। এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। এ অবস্থায় দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে জনসাধারণের মধ্যে এ ব্যাপারে বড় ধরনের শৈথিল্য লক্ষ করা যাচ্ছে। রাস্তায়, এমনকি ভিড়ের মধ্যেও খুব কমসংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়। এ শিথিলতা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, হাত স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে বাধ্য করার চেয়ে বেশি জরুরি এসব ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, যত বেশিসংখ্যক সম্ভব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আশার কথা, দেশে এখন পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। সরকারের টিকা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। চলছে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রমও।
দেশে আবারও লকডাউন বা সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া কারও কাম্য নয়। কারণ এতে শিক্ষা ও আয়-রোজগারে যে স্থবিরতা নেমে আসে, তা সবার জন্য ক্ষতিকর। তাই করোনা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক হয়ে চলতে হবে। আমরা দেশবাসীর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলার। দেশে ওমিক্রনের আঘাত থেকে বাঁচতে হলে প্রত্যেককেই সচেতন ও সক্রিয় উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে ।