ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় চলছে এই নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলাচল বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা ও লোকাল বাস চলাচল। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
জেলা শহরের ভাদুঘরে পৌর বাস টার্মিনাল ও দক্ষিণ পৈরতলার বাসস্ট্যান্ডে কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। চলছে না কোনো লোকাল বাসও। যাত্রীরা কাউন্টারগুলোতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার সিএনজিযোগে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে গিয়ে দূরপাল্লার বাসে যাত্রা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাস কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, ভোরে কাউন্টারগুলো খোলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর এসে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া জানান, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। গতকাল শহরে মাইকে ১৪৪ ধারার ঘোষণা শুনে হয়তো শ্রমিকরা বাস চালায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৬০০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বাস কাউন্টার বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অজুহাতে এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণসমাবেশ করার তারিখ নির্ধারণ করে জেলা বিএনপি।
স্থানীয় ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে মাঠে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে সমাবেশের স্থান হিসেবে উল্লেখ করে আবেদন করে বিএনপি। একই জায়গায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় জেলা ছাত্রলীগ। সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে শোডাউন দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।