শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
ফাইল ছবি

দেশে আবারও বেড়ে যাচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ (রোববার) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

গতকাল (শনিবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল রোববার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামীকাল রাত ১০টায় ভার্চুয়ালি এ সভা হবে। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায় কি না বা খোলা রাখা হলে কি পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। ১২ বছরের উপরে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হলেও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের এর আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ঝুঁকি না নিতে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এর আগে শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের মন্ত্রণালয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আছে। আগামীকাল রোববার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক আছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল, মার্চে গিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু এখন জানুয়ারির গোড়াতেই বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই যে পরিকল্পনা, তাতে কিছুটা সমন্বয়ের দরকার হবে। কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন করোনার টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে। যারা ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী, তাদের জন্য। সেসব বিষয় নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

শেয়ার করুন