ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় উত্তেজনা কমানো নিয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রের প্রধান।
ইথিওপিয়ায় টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্সের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে চলা এই সংঘাতের বলি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বাইডেন ও অ্যাবির মধ্যে কথা হয়েছে। বাইডেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তিনি উদ্বিগ্ন। কারণ, ইথিওপিয়ার বিমানবাহিনী টিগ্রেতে যে বিমান হামলা করছে, তাতে প্রচুর সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন, কয়েক মাস ধরে লাগাতার বিমান হামলার ফলে কয়েক ডজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জানুয়ারিতেও বিমান হামলা হয়েছে। গৃহহীনদের শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাচ্চাসহ ৬০ জন মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রবিবার জাতিসংঘ বলেছে, বিমান হামলা যে হারে বাড়ছে, তাতে তারা উদ্বিগ্ন।
গত সপ্তাহে টিগ্রের চিকিৎসকরাও বিমান হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বিমান হামলার পাশাপাশি অবরোধও চলছে। এর ফলে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আসতে পারছে না।
আলোচনার পর অ্যাবি টুইট করে বলেছেন, আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলাম। ইথিওপিয়া নিয়ে ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দুই দেশই সহযোগিতার হাত বাড়াবে বলে ঠিক হয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়বে।
হোয়ইট হাউসও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আলোচনার ভিত্তিতে কীভাবে যুদ্ধবিরতি সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইথিওপিয়াজুড়ে যাতে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়ার কাজে কোনো বাধা না দেয়া হয়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমেরিকা মনে করে, মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলি ইথিওপিয়ার মেনে চলা দরকার।
টিগ্রেতে মানবাধিকার ভঙ্গ হয়েছে বলে বাইডেন গতবছর ইথিওপিয়ার সঙ্গে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্যের সুবিধা কাটছাঁট করেন। গত নভেম্বরে ইথিওপিয়ার একাধিক সেনা কর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।