বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করলেও তফসিল ঘোষিত সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) অনুষ্ঠান করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি এই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়েই তা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তবে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে তফসিল ঘোষিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের বিষয়ে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে সরকারের বিধিনিষেধ জারি করলেও ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় তারা। এছাড়া একইদিনে অনুষ্ঠিতব্য টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপ নির্বাচন এবং নোয়াখালী, নাটোরের বাগাতিপাড়া, যশোরের ঝিকরগাছা, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও স্থগিত থাকা নাটোর পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি। তবে, আগামী ৩১ জানুয়ারির ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন এবং ৭ ও ১০ ফেব্রুয়ারির ইউপি নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া মহতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি থেকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ইসি থেকে কথা বলা হয়েছে। তারা নির্বাচনি এলাকায় বিধিনিষেধে কিছু শিথিলতার মাধ্যমে ভোটটি করতে চাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা সীমিত করার ক্ষেত্রে ইসির পক্ষ থেকেও নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানে তিনি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কমিশন এখনও যথাসময়ে এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে। নির্বাচনটি আয়োজন না করার মতো পরিস্থিতি পাইনি।
তিনি জানান, নাসিক নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সফরে আছেন। আগামীকাল তিনি সেখানে নির্দেশনা দেবেন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন হবে। তবে ৩১ জানুয়ারি ও পরবর্তী দুটি দিনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে।