পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর শান্তিচুক্তি করেছিলাম। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটি পূরণের কাজ চলছে।
বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সময় তিনি কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে যোগাযোগের বাধা দূর করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমন এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গেও আমরা বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। এসকাফ প্রকল্পটা এগিয়ে নিচ্ছি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা যে কাজ করে যাচ্ছি এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। সড়কটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। সে কারণে উন্নয়নকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে আমরা সেই কাজ শুরু করি। আমি মনে করি যে নির্ধারিত সময়ে কাজটি সমাপ্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নানিয়ারচরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সেতু নির্মাণের ফলে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগোলো। এতে করে স্থানীয়দের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবে।