করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে যশোরসহ সীমান্তবর্তী ছয় জেলাকে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে। আর রেড জোনে থাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদফতর।
ক্ষীণ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদাহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নড়াইল।
বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ – এই তিন ভাগে ভাগ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে।
এদিকে রেড জোন বা উচ্চ ঝুঁকি মানেই রেড অ্যালার্ট জারি নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান। তিনি বলেন, একটি টেলিভিশনসহ কয়েকটি পত্রিকায় রেড অ্যালার্টের খবরে আমি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সবাইকে জিজ্ঞেস করেছি, কেউই বলতে পারছে না যে তারা রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন।
মাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভালো করে বুঝতে হবে যে, ঝুঁকিতে থাকা আর রেড অ্যালার্ট জারি করা একই ব্যাপার নয়।