মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের প্রবেশে ই-লকার সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আর ই-লকার দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালে এটি একটি বড় উদ্যোগ। যার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের প্রবেশের ব্যবস্থাপনায় বিগ ডেটা সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা হবে বলে জানালেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে বিদেশিদের সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য এটি করা হচ্ছে। এছাড়া ‘ই-লকার ব্যবস্থাটি শুধু উপদ্বীপেই নয়, সাবাহ এবং সারাওয়াকেও ব্যবহার করা হবে।
১৩ জানুয়ারি এক বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছাবে, তাদের অবস্থান জানতে ই-লকার সিস্টেম নিশ্চিত করবে যে (তথ্য সম্পর্কিত) ভিসা, সমস্ত নথি এবং মালয়েশিয়ায় তারা যা কিছু করে তা সহজেই পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ই-লকার সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সরকার, মূল দেশ, নিয়োগকর্তা এবং বিদেশি কর্মীদের উপকৃত করবে কারণ এতে বিদেশি কর্মীদের নথিপত্র যেমন পাসপোর্ট, কর্মসংস্থান চুক্তি, ভিসা এবং কাজের পাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর ক্ষমতায়নে মন্ত্রণালয়ের বিভাগগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
নতুন বছর পুনর্গঠনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, ইমিগ্রেশন বিভাগ, ন্যাশনাল অ্যান্টি-ড্রাগ এজেন্সি (নাডা) এবং ইস্টার্ন সাবাহ সিকিউরিটি কমান্ড (এসকম)। মন্ত্রণালয় এই বছর নির্দিষ্ট আইনসভা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিসহ (এসওপি) বেশ কয়েকটি নীতি পর্যালোচনা করবে এবং প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো দক্ষতার সঙ্গে, পদ্ধতিগতভাবে সমাধান করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জননিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। মন্ত্রণালয় সমস্ত বিদ্যমান আইন যেমন নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন ২০১২ (সোসমা), ছাপাখানা এবং প্রকাশনা আইন ১৯৮৪, জেল আইন ১৯৯৫, ব্যক্তিগত সংস্থা আইন ১৯৭১ এবং আল-কুরআন টেক্সট পাবলিশিং অ্যাক্ট ১৯৮৬’এর উপর ভিত্তি করে, আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে এই আইনগুলি নির্দিষ্ট সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেই অনুযায়ী সংশোধন করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন।