জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘুঘুর ফাঁদ দেখেছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তৈমুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নানক বলেছেন— তৈমুর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। সে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টের পাবে। ’
হাতি প্রতীকের এই মেয়রপ্রার্থীর ভাষ্য, আমি ইতোমধ্যে টের পেয়েছি, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেছি। উনি (নানক) এই কথা বলার পর সিদ্ধিরগঞ্জে আমার নির্বাচনি সমন্বয়ক জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রবির অফিস থেকে পোলিং এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উধাও হয়ে গেছে।
পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে তৈমুর বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৮ আগস্ট বিএনপির একটা মিছিলে সরকারি দলের নেতাদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হই। ওই মিছিলে আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকা কর্মী ইব্রাহিম দুটি শিশু বাচ্চা রেখে মারা যায়। আমি সেই পরিবারের দায়িত্ব নেই। তার মেয়ে রেশমীকে আমি বিয়ে দিই, আমার ছোট ভাই সেই বিয়েতে উকিল হয়। আমাদের রেশমী বাবা বলে ডাকে। তাকে বিয়ে দেই আশরাফ খানের সঙ্গে। আশরাফ আমার কর্মী। আমার পোস্টার লাগানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ২০২১ সালের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আশরাফ আমার জামাতার মতোই আমার পাশে ছিল। এ ছাড়া শারমিন নামে আমাদের এক যুবদল নেতাকে দুই বছর আগের এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এই মেয়রপ্রার্থী অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরেই নিজ বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারছি না। নানাভাবে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।