রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি অন্যদেরও বিষয়টি মাথায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবনটি খুবই চমৎকারভাবে তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে আলো বাতাসের ব্যবস্থা রেখে ১০ তলা ভবন করা হয়েছে। সময়ের আগে কাজ শেষ হয়েছে, টাকাও সাশ্রয় হয়েছে। সব জায়গায় প্রজেক্ট দিলে টাকা সাশ্রয় হয় না, বরং পরে আবার চায়। কিন্তু এখানে (রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে) ২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে যারা এমন কমপ্লেক্স করবে, তারাও যেন বিষয়টি মাথায় রাখে। কারণ, খরচ একটু কমালে পরে আমাদের একটা ধন্যবাদ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা দূর করেছি। ২০১০ সালে আমরা রংপুর বিভাগ করে দেই। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে এ রংপুর। এক সময় খাবারের অভাবে মরতেন। মানুষ দেখলে মনে হতো জীবন্ত কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা আমার নিজের চোখে দেখা। আল্লাহর রহমতে এখন আর ওই অবস্থা নেই। আমরা সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দুর্ভিক্ষ তো দূর হয়েছেই, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে।
তিনি বলেন, রংপুরে গত ১৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এর আগে কখনও হয়নি। দীর্ঘ সময় তো রংপুরের লোকই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু রংপুরের মানুষের তেমন কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অথচ আমরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কর্মসূচি রংপুর বিভাগ দিয়েই শুরু করেছি।
এসময় শীতবস্ত্র বিতরণ করতে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অনেক শীত পড়ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বিত্তশালীদেরও আহ্বান জানাবো, তারাও যেন এই শীতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।