সবার চোখের আড়ালে চিরবিদায় নিলেন মঞ্চ-দুনিয়ার দিকপাল ব্যক্তিত্ব অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নাট্য দুনিয়ার এই দিকপালের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সবার অগোচরে এদিন দুপুরে সিরিটি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
অভিনেত্রী তার শেষ ইচ্ছাপত্রে জানিয়েছিলেন, শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর যেন তার মৃত্যুর খবর সবাইকে জানানো হয়। বাবা শম্ভু মিত্রের মতো মৃত্যু-পরবর্তী নিয়ম বিধি আগেই প্রকাশ করে যান তিনি। ফুলের ভারে তার দেহ যেন না সাজানো হয়- এমনই নির্দেশ ছিল তার।
প্রয়াত নাট্য-ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্যে বিশিষ্ট নাট্যকর্মী ও রাজনীতিক অর্পিতা ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। অভিনেত্রীর মানস-পুত্র ও কন্যা সায়ক চক্রবর্তী ও অর্পিতা ঘোষের ওপরেই তার দাহকার্যের ভার দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মহাসমারোহ বা পুষ্পস্তবকে তার দেহ সাজিয়ে তোলার বিরুদ্ধে ছিলেন শাঁওলি। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো সাদামাঠা, সবার অগোচরে চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্রকে। অভিনয় করেছেন ‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে। অভিনয়ের সুবাদেই তিনি ২০০৯-এ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি (২০০৩) ও বঙ্গ-বিভূষণ (২০১২) সম্মানে। ২০১১ সালে রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপারসন ছিলেন এই অভিনেত্রী।