ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই হামলায় ১৪ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার একদিন পরেই ইয়েমেনে হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
২০১৫ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত। তারা সে সময় প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালান। হুথি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে রাজধানী সানা এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে নেওয়ার পর তিনি পালিয়ে যান।
২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেন থেকে তাদের সৈন্য কমিয়ে নিলেও ইয়েমেনি বাহিনীকে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার শুরুর দিকে সৌদি জোট জানায়, তারা সানায় অবস্থিত ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর শক্তিশালী ঘাঁটি এবং ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ওই হামলায় প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাবেক এক সামরিক কর্মকর্তার বাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে সোমবার আমিরাতে হামলা চালানো হুথি গোষ্ঠী বলছে, সৌদি জোটের হামলায় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের এক খবরে বলা হয়েছে, ওই হামলায় বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ডজন খানেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ।
সোমবার আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় তিনটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়। সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ওই হামলা চালিয়েছে।
বাণিজ্যিক এলাকা মুসাফ্ফারের কাছে তিনটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া আবু ধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণ সাইটের কাছে আগুন লেগেছে। পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে দুজন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক।