কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দুই বছর স্থগিত থাকার পর এবার শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে ডিসিদের উদ্দেশে বক্তৃতা করছেন সরকারপ্রধান।
এর মধ্যে প্রথম দিন ৭, দ্বিতীয় দিন ৮ এবং তৃতীয় দিন থাকবে ১০টি অধিবেশন। করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে ডিসিদের অধিবেশনগুলোও ভার্চুয়ালি হবে।
অন্যান্য বছর জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এ সম্মেলন হলেও করোনার কারণে এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন হচ্ছে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর এ সম্মেলন হচ্ছে। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি।
জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) আরও ক্ষমতা চান। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নসহ একাধিক বিষয়ে বাড়তি ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব এসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। ৬৪ জেলার ডিসির পাঠানো প্রায় পৌনে তিনশ প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্রই মিলেছে। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নানা বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, ‘জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব ও কার্যাবলি-২০১১’ অনুযায়ী, নির্দিষ্টভাবে ৬২টি বিষয় দেখভালের কথা উল্লেখ আছে। গত এক যুগে এসব দায়িত্বে পরিধি আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে লিখিতের বাইরেও সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে জেলা পর্যায়ে ডিসি এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ আছে। এসবের পরও সংশ্লিষ্ট জেলার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিল রেখে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাবও দিয়েছেন ডিসিরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইন-নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশ এসেছে তাদের কাছ থেকে।