রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) প্রধান আতা উল্লাহ জুনুনীর ভাই শাহ আলী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনির ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি ওই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র, মাদকসহ শাহ আলীকে আটক করেন এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক, একটি বড় আকারের ছোরা ও এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে শাহ আলীর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে তার কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, দায়ের করা মামলায় শাহ আলীসহ দু’জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলী এবং এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইর। তাদের মধ্যে শাহ আলীর কাছ থেকে ওই এনআইডি উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইডি নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪ ১২০০০০০১৮।
ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, অস্ত্র, মাদকসহ শাহ আলীকে আটকের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ সালেহ নামের এক যুবক বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় একটি এবং এপিবিএনের এক সদস্য বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিকে সোমবার পুলিশ কক্সবাজার আদালতে হাজির করেছে।
এপিবিএন সূত্র জানিয়েছে, আটক শাহ আলীর সঙ্গে মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আরসার প্রধান আতা উল্লাহর জুনুনীর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আরসাপ্রধান মিয়ানমারের রাখাইনে পাহাড়ি এলাকার ক্যাম্পে অবস্থান করছেন বলে শাহ আলী জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, উখিয়ার ক্যাম্পে অবস্থান করে শাহ আলী নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।