উত্তপ্ত শাবিপ্রবি : ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

উত্তপ্ত শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
উত্তপ্ত শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। সংগৃহীত ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের করা ‘অশালীন’ মন্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

universel cardiac hospital

প্রতিবাদে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে তারা এ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষক। আমরা সম্মানের জন্য কাজ করি এবং সম্মানের জন্যই এ পেশায় এসেছি। আমরা চাষাভুষা নই যে, আমাদের যা খুশি তাই বলবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সেই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আমরা ২০২২ সালে এসে কেন এ অপমানের শিকার হবো। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কেমন শিক্ষার্থী তৈরি করছি যে, আমাদের নিয়ে যা খুশি তাই বলবে।

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমরা জানি না। এ হামলা কে বা কারা করেছে এটি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। রাষ্ট্র এ তদন্তের কাজ করতে পারে।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষককে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করেছে পুলিশ।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন মত ও পথকে বলেন, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসসিটি ভবনের সামনে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং ক্যাম্পাসে অশান্ত পরিবেশ নিয়ে সোমবার এ মামলা করা হয়। সেখানে দুই থেকে তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলন শুরু হয়। সেখানে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পর সোমবার দুপুর বারোটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হলে তালা ঝুলিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

শেয়ার করুন