ঢাকা ও রাঙ্গামাটির পর আরও ১২ জেলাকে করোনা সংক্রমণের রেড জোনে বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।
গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে— গত ৭ দিনে (১০ জানুয়ারি ১৬ জানুয়ারি) শনাক্ত ৩৪ হাজার ৪০৫ পূর্ববর্তী ৭ দিনে (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) শনাক্তের চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বা ২২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি এ সময়ে (১০ জানুয়ারি ১৬ জানুয়ারি) গত ৭ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জন।
যা পূর্ববর্তী ৭ দিনে (৩ জানুয়ারি ৯ জানুয়ারি) মৃত্যুর চেয়ে ৩৭ জন বেশি যা শতাংশ হিবেসে ১৮৫ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে এক সপ্তাহে। এর প্রভাবে নতুন করে ১০ জেলা রেড জোনে বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় প্রবেশ করেছে।
অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো— গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া বগুড়া, দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়। আগের দুটি ঢাকা ও রাঙ্গামাটি।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্তের হার ১৪.৪৮ শতাংশ, রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ ছাড়া গাজীপুর করোনা সংক্রমনের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, লালমনরিহাট ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে যে ৩২ জেলা— এসব জেলার শনাক্তের হার ৫ – ১০ শতাংশের মধ্যে। এগুলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদাহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাঁও।
ঝুঁকিমুক্ত ১৬টি জেলায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে। এগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, মেহেরপুর।
গতবছর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।