গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এফবিসিসিআই
ফাইল ছবি

গ্যাসের দাম বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়াকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশের শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বাড়বে। মহামারিকালীন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোও ব্যাহত হবে।

বুধবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাওয়ার, এনার্জি, ইউটিলিটিস বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা এ উদ্বেগের কথা জানান।

universel cardiac hospital

বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাপেক্স একা না পারলে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে অনুসন্ধান কূপ খননে গতি আনা উচিত।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, দেশে জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ নয়। দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শিল্পায়ন অব্যাহত রাখতে দেশীয় সম্পদকে কাজে লাগানো জরুরি। কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে মত দেন আবুল কাশেম খান।

এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. নাসের বলেন, বিতরণ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এ খাতে শৃঙ্খলা আনতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনার ভার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের অন্তত আরও একশ’ কূপ খনন করা উচিত। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত বাইরের শিল্প-কারখানাগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিইও হুমায়ুন রশিদ

বৈঠকে ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন ইউসুফ, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, নাজমুল হক ও এফবিসিসিআইর মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

শেয়ার করুন