মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’র প্রভাবে দেশে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত একদিনে (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৪৩৪ জন। গত বছরের ১০ আগস্টের পর শনাক্ত রোগী ১১ হাজার ছাড়ালো। সেদিন শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৪ জন।
এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৯২ জন। এর আগের দিন (২০ জানুয়ারি) ১০ হাজারের বেশি শনাক্ত ও চারজনের মৃত্যু হয়।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪০ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৪৩৪ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৫টি। এতে মোট শনাক্ত হয় ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একদিনে সেরে উঠেছেন ৭৫২ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জনে। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।