হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, এ বিষয়ে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, সংক্রমণের হার কমে গেলে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। স্কুল বন্ধের যে নির্দেশনা আমরা পেয়েছি, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
আবাসিক হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও ক্লাসে ফিরবেন তারা। তবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে পারবেন।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। এসময় তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে রাতে আলোচনা করবো।
সব কিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসূ হবে কি না তা নির্ভর করবে আমাদের সবার ওপর।
এসময় মন্ত্রী জানান নতুন কারিকুলামের অধীনে ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাইলটিং করা হবে।