ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সর্বনিম্ন বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা। পাশাপাশি নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে বা অদক্ষতার অজুহাতে কোনো ব্যাংকারকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলার অনুযায়ী দেশের সকল বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা।
শিক্ষানবিশকাল শেষে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতাদি হবে ৩৯ হাজার টাকা। নতুন নির্ধারিত এই বেতন আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয় সার্কুলারে।
নতুন বেতন-ভাতা কার্যকরের পর একই পদে আগে থেকে কর্মরত কর্মীদের বেতন-ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
এতদিন ব্যাংকগুলো নিজেরাই এন্ট্রি লেভেলসহ সব স্তরের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে আসছিল। অধিকাংশ ব্যাংক এন্ট্রি লেভেলে বেতন দিত ২২ হাজার টাকা।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তার বেতন-ভাতাদির সঙ্গে সর্বনিম্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে।
অনুরূপভাবে সকল স্তরের কর্মকর্তাদের জন্যও আনুপাতিক হারে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা কোনো অবস্থাতেই বর্তমান বেতন-ভাতাদির চেয়ে কম হবে না। এরূপ পরিস্থিতি দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইনক্রিমেন্ট দিয়ে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
তাছাড়া নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ী করা বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জনের শর্ত আরোপ না করার জন্যও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয় সার্কুলারে।
ব্যাংকে বার্তাবাহক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, অফিস সহায়ক অথবা সমজাতীয় পদে বা সর্বনিম্ন যে কোনো পদে নিয়োগ করা কর্মচারীদের ন্যূনতম প্রারম্ভিক বেতন ২৪ হাজার টাকা হবে।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক বা আউটসোর্সিং বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নিজস্ব কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
তবে এই নির্দেশনা সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের বেতন কাঠামো সরকার কর্তৃক জারি করা জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত বিধায় এ খাতের ব্যাংকগুলো এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।