অনলাইনে পাঠদানসহ মাউশি’র ১১ নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাউশি
মাউশি

করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে অনলাইন মাধ্যমে পাঠদানসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন স্কুল ও কলেজের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বেসরকারি কলেজ শাখার মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো শাহেদুল খবির চৌধুরী সাক্ষারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে নিমরূপ নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে মেনে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১১টি নির্দেশনায় বলা হয়েছে:-

১. আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

২. এ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাস্তবতার ভিত্তিতে অনলাইনভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৩. যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সাথে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণি কক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সকল বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি এবং গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৫. এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানের জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনপূর্বক শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।

৭. যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রবাস/ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস/ছাত্রী নিবাসসমূহ খোলা থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

৮. অধিদপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।

৯. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় যথারীতি চালু থাকবে; সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

১০. জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আযয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

১১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য বিধিনিষেধ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপযুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

শেয়ার করুন