ইয়েমেনের একটি কারাগারে সৌদি জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালের দিকে সাদা প্রদেশের একটি বন্দি শিবিরে হামলা চালায় সৌদি সামরিক জোটের বিমান বাহিনী। ওই শিবিরে ইয়েমেনি বন্দি ছাড়াও বেশ কয়েকজন আফ্রিকান অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন।
এক হুতি কর্মকর্তা এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের বরাত দিয়ে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, উত্তর ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছেন। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘাত গত সোমবার আবুধাবিতে হুতিদের ড্রোন হামলার পর তারদের উপর হামলার পরিমাণ বেড়েছে।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হুতিরা উৎখাত করার পর সেই সরকার আবার পুনর্বহাল করতে ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট।
হুতিরা গত সোমবার আবুধাবিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করলে সংঘাত নতুন মাত্রা পায়। এর ফলেই ইয়েমেনে এই বিমান হামলা চালানো হলো।
ইয়েমেনে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) মিশনের প্রধান আহমাদ মহত সিএনএনকে বলেন, ‘সাদা নগরীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে জেনেছি, বিমান হামলাস্থলে এখনো বহু মরদেহ পড়ে আছে। তাদের সংখ্যা কত তা জানা অসম্ভব। সেখানে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সাদা নগরীতে এমএসএফ সহায়তা দিচ্ছে এমন একটি হাসপাতালে এত আহত মানুষ ভর্তি হয়েছে যে সেখানে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। নগরীর আরও দুটি হাসপাতালেও বহু আহত মানুষ ভর্তি হচ্ছে।’
এদিকে, ত্রাণকর্মীরা সিএনএনকে বলেছেন, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে ত্রাণ সংগঠনগুলো বিমান হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিমান হামলায় নিহত ও আহতদের সন্ধানে বন্দি শিবিরের ধ্বংস্তুপে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। আহতদের নিকটস্থ আল জামহুরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে- সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি আল মাসিরা।