শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে একই জায়গায় এসে মিছিলটি শেষ হয়।
মশাল মিছিলে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শিক্ষকদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন সমিতির নেতারা। সভায় চলমান সংকট নিরসনে চার দফা দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে শাবিপ্রবির চলমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ১০৫ নেতা বিবৃতি দেন। এতে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।
এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৩ জন শিক্ষার্থী। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন। অনশনে অসুস্থ ১৬ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।