দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা আইন মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো, জাতীয় কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এ সভা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিতে দেশে শিক্ষা আইনকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ শেষে আমাদের কাছে পাঠানো হবে। আমরা পরিবর্তন বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠিয়ে দেবো। সেখান থেকে অনুমোদন দেওয়া হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার কারিকুলাম, অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাকে ব্যববহারিক ও বিশ্ব মানের করতে শিক্ষা নীতিমালা করা হবে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দেশের গতিপথ যখন থামিয়ে দিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়, তখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও অশিক্ষায় আক্রান্ত হয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি দক্ষতা নির্ভর করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রজন্ম সচেতন, তাদের আরও উদ্ভাবনী কাজে যুক্ত করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, দেশের চলমান সমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা করোনাকালে ব্যাহত হয়েছে। তবে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক সংকটেও নতুন প্রজন্ম থেমে নেই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কার্যক্রম চলমান ছিল। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পরে সেদিকে জোর দিতে হবে। দক্ষতা নির্ভর শিক্ষার ওপর দিতে হবে গুরুত্ব।
বিএনসিইউ’র যুগ্মসচিব সোহেল ইমাম খান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে বিশ্ব। বাংলাদেশও রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন প্লাটফর্মে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষক কেন্দ্রী না হয়ে শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা হলে শিশুকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল হয়ে উঠবে।
দেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি মিজ বিয়াট্রিস কালডুন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গতিশীল ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম অনেক দেশের জন্য আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।