শেষ তিন বলে তিন ছক্কা মেরেও ১ রানে হেরে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড

শেষ ওভারে দরকার ৩০ রান। লোয়ার অর্ডারের আকিল হোসেনের ঝড়ে ওই ওভারে সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিলো ২৯ রান! কী দরকার ছিল! শেষটায় যে আফসোস বাড়িয়ে দিলেন তিনি।

ম্যাচটা আসলে শেষ ওভার আসার আগেই কার্যত হেরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ওভারে দরকার ছিল ৬টি বাউন্ডারি কিংবা ৫টি ওভার বাউন্ডারি!

সাকিব মাহমুদ প্রথম ডেলিভারিটি দেন ওয়াইড, কিন্তু পরের ডেলিভারিতে তিনি রান না দিলে জয় ‘নিশ্চিত’ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান আকিল। তখন কেবল কাগজে-কলমে সম্ভাবনা বেঁচে রয়েছে ক্যারিবীয়দের। আসলে এই সম্ভাবনা বেঁচে ছিল শেষ বল পর্যন্ত, একটি ‘নো’ হয়ে গেলেই হতো।

ওভারের চতুর্থ ডেলিভারি ফের ওয়াইড দেন সাকিব। পরের দুই বলেই ছক্কা হাঁকান আকিল। শেষ বলে দরকার পড়ে ৮ রান। ওই বলটিও ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিবীয়দের আফসোস বাড়ান আকিল।

এত কাছে এসেও শেষ পর্যন্ত আর হলো না। ১ রানে হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড।

ব্রিজটাউনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৩১ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ওপেনার জেসন রয়।

আরেক ওপেনার টম ব্যান্টন ১৮ বলে ২৫, এছাড়া মঈন আলি ২৪ বলে ৩১ এবং ক্রিস জর্ডান ১৫ বলে খেলেন ২৭ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন আর জেসন হোল্ডার। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একশর আগেই (৯৮ রানে) তারা হারায় ৮ ব্যাটারকে।

সেখান থেকেই রোমারিও শেফার্ড আর আকিল হোসেনের অবিশ্বাস্য এক কামব্যাক। মাত্র ২৯ বলে ৭২ রানের এক জুটি গড়ে তাক লাগিয়ে দেন তারা।

২৮ বলে এক চার আর ৫ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন রোমারিও। আকিল হোসেন ১৬ বলেই করেন ৪৪, যে ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় এই লোয়ার অর্ডার। কিন্তু তাদের এই অবিশ্বাস্য লড়াই কাজে তো দিলো না!

ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন মঈন আলি। ২টি উইকেট শিকার আরেক স্পিনার আদিল রশিদের।

শেয়ার করুন