‘ছোট ভাই জায়েদকে একটা কথা বলতে চাই। তার প্রয়াত মা, তার মাগফেরাত কামনা করি। তিনি হয়তো ছেলেকে একটা কথা রেগে বলেছেন। কিন্তু বড় ভাই হিসেবে আমি বলতে চাই, শিল্পী সমিতি তো আছেই তুমি বিয়ে করো। তোমার সন্তান হোক, আমরাও মামা-কাকা হই। তোমাকে অনুরোধ করি, তুমি আমাদের কথাটি শোনো। এবার বিয়ে করো’- মজার ছলে আজ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খানকে এ কথা বলেন সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন।
গেলো ২৩ জানুয়ারি মিশা সওদার-জায়েদ খান প্যানেলের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেঁদে কেঁদে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার মা মৃত্যুর আগে বলে গেছেন তোর বিয়ে করতে হবে না, তুই শিল্পী সমিতি নিয়েই থাক।’
সে কথার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ জায়েদকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমি একটু রাগি ছিলাম। কিন্তু নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন শুরুর পর নিজেকে অনেক পরিবর্তন করেছি। অতিসাধারণ হয়ে গেছি। যারা নেতৃত্বে থাকে তাদের রাগ থাকলে চলে না। তাদের হতে হয় বিনয়ী। অনেকে হয়তো আড়ালে বলছেন কাঞ্চন এত বড় নায়ক তোমরা কি উনার পাশে যেতে পারবে? তাদের বলি আমরা তো এইসব মানুষদের সঙ্গে সারাজীবন থেকেছি।এসব নৃত্যশিল্পী, ফাইটার, অভিনেতা এদের পাশাপাশি বসেই অভিনয় করে এসেছি। আজ কেন পারবে না।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, স্বাধীন দেশের শিল্পী সমিতি। এই সমিতিকে আমরা কেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো করবো। আমরা এখানে শান্তিতে অবাধে চলাফেরা করবো। এখানে শিল্পীরা সম্মানের সঙ্গে থাকবো। শিল্পী সমিতিতে এসে আপনাদের সেই সম্মান আমরা বৃদ্ধি করবো।’
সর্বশেষ অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মগবাজারের একটি কনভেনশন সেন্টারে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটারদের জন্য প্যানেল পরিচিতির আয়োজন করে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সেখানে পুরো প্যানেল ও ভোটাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়া ছিলেন বরেণ্য সব সিনিয়র অভিনেতা ও নির্মাতারা।