সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আগামী ৫০ বছর এবং বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো এক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালটি বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক বছর। এ উপলক্ষ্যে দুই দেশের সম্পর্কের বার্ষিকী যুগান্তকারী অনুষ্ঠান ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।’
ভারতের গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার, জনগণ ও নিজের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে উষ্ণতম শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরটি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনার সহৃদয় উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানগুলো উদযাপনে বাড়তি উদ্দীপনা যোগ করেছিল এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও জোরদার করেছে।’
সরকারপ্রধান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, এটা দুই দেশের মধ্যে একটি অনন্য সম্পর্কের ভিত গড়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান এই বিশেষ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো ছাড়াও অনেক নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যেকার ঘনিষ্ঠ মৈত্রী, সহযোগিতা ও আস্থার অনন্য সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুদৃঢ় হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ‘আজাদিকা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন বিশেষভাবে আনন্দপূর্ণ হয়ে ওঠবে।’
সূত্র: বাসস