লকডাউনের মধ্যে পার্টি করলেও এই ইস্যুতে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পার্লামেন্টে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে ‘নিয়মভঙ্গকারীদের পদ ছাড়া উচিত’ স্বীকার করলেও নিজে আপাতত এ কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির ইতিহাসে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় বসেন বরিস জনসন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে লকডাউনের সময় একাধিকবার মদ্যপানের পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ব্রিটিশ ক্যাবিনেট অফিস ও পুলিশ পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ সামনে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কোনো মন্ত্রী জেনেশুনে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে পদত্যাগ করতে হবে, এই নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য কি না? জবাবে বরিস জনসন বলেন, অবশ্যই।
স্টারমার বলেন, কেউ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে আপনি কি পদত্যাগ করবেন? এক্ষেত্রে জনসনের উত্তর, না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্টি নিয়ে তদন্তের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তার সরকার যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত।
লকডাউনে পার্টির বিষয়ে একেকবার একেক ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিস জনসন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, কোনো নিয়মভঙ্গ হয়নি। পরে এ ধরনের জনসমাগমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালের ২০ মে লকডাউনের মধ্যে ‘যার মদ সে আনো’ পার্টিতে অংশ নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিনি। জনসনের দাবি, তিনি ভেবেছিলেন এটি কোনো কর্মশালা ছিল।
এরপর অভিযোগ ওঠে, একই বছরের জুন মাসে ডাউনিং স্ট্রিটের ক্যাবিনেট রুমে বর্তমান স্ত্রী ক্যারিকে নিয়ে প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে নিজের জন্মদিনের পার্টি করেছিলেন বরিস জনসন। অথচ করোনার কারণে দেশটিতে সেই সময় সব ধরনের ইনডোর অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ছিল। এসব পার্টিতে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আইন লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী নেতারা।