রাজশাহীর চারঘাটে তিনটি হাট ইজারার সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ওই মামলায় অভিযুক্তকে ১৯৮৭ সালে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয় ১৯৮৮ সালে। তবে আপিলকারী আসামি মারা যান ২০০১ সালে। সেই আপিলটির নিষ্পত্তি হলো তার মৃত্যুর ২০ বছর পর।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার আপিলটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায় অনুযায়ী, অভিযুক্ত আসামি আব্দুস সোবহানকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল এবং জরিমানা মওকুফ হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাটের বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুস সোবহান। তিনটি হাট ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ১৯৮২ সালের ৯ জুন মামলা করে চারঘাট থানায়।
এ মামলায় আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ১৯৮৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় দেন নিম্ন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলে দুদককে পক্ষ করা হয়নি। পরে দুদক এ মামলায় পক্ষ হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে গতকাল রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি)। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
শাহীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট অনেক পুরোনো একটি আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন। আপিলকারী মারা গেলে আইনের বিধান হচ্ছে, আপিলটা অ্যাবেট (বাদ) হয়ে যাবে দণ্ড ও সাজার ক্ষেত্রে। কিন্তু জরিমানাটা থেকে যাবে। এখন এই জরিমানার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত আপিল মঞ্জুর করেছেন। এর মাধ্যমে আপিলের নিষ্পত্তি ঘটল।
সামিরা তারান্নুম রাবেয়া বলেন, আপিল মঞ্জুর হওয়ায় ওই চেয়ারম্যানকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল এবং জরিমানা মওকুফ হয়ে গেছে।