সিলেটের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে জয়ে ফিরলো ঢাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রান করে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল সিলেট সানরাইজার্স। মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের আশা নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল তারা। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতে আর হাসিমুখে মাঠ ছাড়া হয়নি তাদের। কেননা বোলিং করতে নেমে সিলেটকে পড়তে হয়েছে তামিম ইকবালের ঝড়ের মুখে। নিজ শহর চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম। যা তার দলকে দিয়েছে রেকর্ডগড়া ৯ উইকেটের জয়। প্রথম ইনিংসে সিলেট সানরাইজার্সের করা ১৭৫ রানের সংগ্রহ মাত্র ১৭ ওভারেই টপকে গেছেন তামিমরা।

সিলেটের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭৩ রান যোগ করেন ঢাকার দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও তামিম ইকবাল। যা বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।

তামিম-শাহজাদের এই জুটিতে ভর করেই জয়ে ফিরলো ঢাকা। বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে একাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে তামিম খেলেছেন ৬৪ বলে ১১১ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৭ চার ও ৪টি ছয়ের মার। স্বাভাবিকভাবেই তার হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রান করে খানিক সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল সিলেট সানরাইজার্স। মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের আশা নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল তারা। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতে আর হাসিমুখে মাঠ ছাড়া হয়নি তাদের। কেননা বোলিং করতে নেমে সিলেটকে পড়তে হয়েছে তামিম ইকবালের ঝড়ের মুখে।

নিজ শহর চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম। যা তার দলকে দিয়েছে রেকর্ডগড়া ৯ উইকেটের জয়। প্রথম ইনিংসে সিলেট সানরাইজার্সের করা ১৭৫ রানের সংগ্রহ মাত্র ১৭ ওভারেই টপকে গেছেন তামিমরা।

সিলেটের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭৩ রান যোগ করেন ঢাকার দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও তামিম ইকবাল। যা বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।

তামিম-শাহজাদের এই জুটিতে ভর করেই জয়ে ফিরলো ঢাকা। বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে একাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে তামিম খেলেছেন ৬৪ বলে ১১১ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৭ চার ও ৪টি ছয়ের মার। স্বাভাবিকভাবেই তার হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে ভাগ্যেরও পূর্ণ সহায়তা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে থাকা একমাত্র ফিল্ডার মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ঢাকার ওপেনার। প্রথম দুই ওভার শেষে তার নামের পাশে ছিল মাত্র ৮ বলে ৬ রান।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিনের জায়গায় আলাউদ্দিন বাবুকে আক্রমণে আনেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর সেই সুযোগেই উইকেটে থিতু হয়ে যান তামিম। বাবুর সেই ওভারে দুই চার ও এক ছক্কা হাঁকান তিনি। সানজামুল ইসলামের করা পরের ওভারেও একটি করে চার-ছয় হাঁকান তামিম।

তবে তার ইনিংসের সেরা শটটি ছিলো তাসকিনের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। সেই ওভারের চতুর্থ বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইনসাইড আউট শটে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক ছক্কা হাঁকান তামিম। পরের ওভারে সিলেট অধিনায়ককে হাঁকান তিন বাউন্ডারি। প্রথম পাওয়ার প্লে থেকেই ঢাকা পেয়ে যায় ৭৪ রান।

তামিম ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করেন মায়ত ২৮ বলে, সাত চার ও তিনটি ছয়ের মারে। যা এবারের আসরের দ্রুততম। এরপর ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তামিম নেন ৩৩ বল। মাঝে ব্যক্তিগত ৭১ রানে থাকতে দুইবার জীবন পান তিনি। প্রথমে উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয় এবং পরে আলাউদ্দিন বাবু শর্ট ফাইন লেগে ছেড়ে দেন ক্যাচ।

সেই আলাউদ্দিন বাবুর করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিটি করতে তিনি খেলেন ৬১ বল। যেখানে ছিল ১৬ চার ও তিন ছয়ের মার। সেঞ্চুরি পূরণের পর আরও একটি করে চার-ছয় মারেন তিনি।

তামিমের এই তাণ্ডবের মাঝে একপ্রকার ম্লান হয়ে যায় অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার শাহজাদের ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। দলের জয়ের জন্য মাত্র ৩ রান বাকি থাকতে আউট হন এ আফগান ওপেনার। তবে আউট হওয়ার আগে তামিমের সঙ্গে রেকর্ড ওপেনিং জুটি গড়ে নেন তিনি। সিলেটের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন সেই আলাউদ্দিন বাবুই।

এর আগে আসরের আগের নয় ম্যাচের ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে সিলেট। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে ফেলে তারা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন এনামুল হক বিজয়।

এরপর হতাশ করেন মোহাম্মদ মিঠুন (৬) ও কলিন ইনগ্রাম (০)। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে ফিরতি ক্যাচ দেন ইনগ্রাম, কাইস আহমেদের বলে বোল্ড হন মিঠুন। দ্রুতই তিন উইকেট পতনের পর ইনিংসের হাল ধরেন সিমন্স। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রবি বোপারা। এ দুজনের জুটিতে আসে ৭ ওভারে ৬৩ রান। যেখানে বোপারার অবদান মাত্র ১৩ রান।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে এবাদত হোসেনের বলে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান সিমন্স। তিন অঙ্কে পৌঁছতে ৫৯ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ১২টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার পর আরও দুইটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।

আন্দ্রে রাসেলের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি ছক্কার চেষ্টায় লং অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়ে যান সিমন্স। ইনিংস সূচনা করতে নেমে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৫ বলে ১৪ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস। বিপিএল ইতিহাসে এটি ২২তম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রানের রেকর্ড রয়েছে আর মাত্র চারটি।

শেষ দিকে দলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮ বলে ১৩ রান করে দলকে ১৭৫ রানে পৌঁছে দেন। ঢাকার পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, এবাদত, রাসেল ও কায়েস।

শেয়ার করুন