প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কমানো হয়েছে করোনার টিকা নেওয়ার বয়সসীমাও।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ৪০ বছর বয়স হলেই করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া ১২ বছর বয়স হলে করোনার টিকাও নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন।
কিছু দিন পর ৫০ বছর বয়সীদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। এবার বয়সের সেই সীমা আরও কমিয়ে ন্যূনতম ৪০ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৫০ বছর বয়স থেকে বুস্টার ডোজ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে লোকজন এগিয়ে আসেনি। তাই আমরা আজ থেকে ৪০ বছর বয়সে নামিয়ে আনলাম। যাদের বয়স ৪০ ঊর্ধ্ব তারা সবাই এখন থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবে। এর মাধ্যমে আমরা আরো বেশি মানুষকে টিকা দিতে পারব। আমাদের হাতে এখনো পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। আমরা এই টিকা সবাইকে দিতে চাই।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, এখন থেকে ১২ বছরের ওপরে যারা আছেন সবাইকে আমরা টিকা দিব। শিক্ষার্থীসহ যারা লেখাপড়া না করছে কিন্তু ১২ বছর হয়েছে এমন সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে আহবান করব তারা যেন আমাদের থেকে টিকা নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও আহমেদুল কবির।