আগের ম্যাচে ১৭৫ রানের টার্গেট দিয়েও জিততে পারেনি সিলেট সানরাইজার্স। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৮৬ রান তুলতে পেরেছিল তারা। পর পর দুই ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হার দেখা সিলেট সানরাইজার্সের ড্রেসিংরুম নিশ্চিতভাবেই আক্ষেপে পুড়ছে।
তবে শনিবার এনামুল হক বিজয়ের জন্যই আক্ষেপটা বেশি হতে পারে! ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সব আলো যখন নিজের করে নিচ্ছিলেন, তখন হুট করে মশালটা নিজের করে নিলেন বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার হ্যাটট্রিকে জয়ের লড়াই থাকা সিলেটের ইনিংস ১৮৬ রানে থেমে যায়। সিলেটের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় ১৬ রানের আরেকটি হার।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লেন্ডন সিমনসকে (৯) হারায় সিলেট। এরপর এনামুল হক ও কলিন ইনগ্রাম মিলে ১১২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। ৩৭ বলে ৫০ রান করে ইনগ্রাম আউট হলেও এনামুল জয়ের পথেই দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ম্যাচের ১৮তম ওভারে অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় এসে সিলেটের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন।
৪৭ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করা এনামুলের পর মোসাদ্দেক-রবি বোপারাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মৃত্যুঞ্জয়। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সিলেট ১৮৬ রান তুলতে পারে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় ৩৩ রানে তিনটি এবং নাসুম আহমেদ ১৮ রানে দুটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন চট্টগ্রামের ইংলিশ ওপেনার উইল জ্যাকস। সানজামুল-তাসকিন-আলাউদ্দিন বাবুদের পাড়ার বোলার বানিয়ে তুলে নেন বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। পঞ্চাশে পৌঁছাতে মাত্র ১৮ বল নেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদের দখলে, ১৬ বলে ৫০ ছুঁয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এ ছাড়া আফিফ হোসেন ২৮ বলে ৩৮, সাব্বির রহমান ২৯ বলে ৩১ এবং বেনি হাওয়েল ২১ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করেন। বেনি হাওয়েল ২১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী, মুক্তার আলী, রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।